উখিয়ার উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের পালংখালী-তেলখোলা-মুছাখোলা সড়কটি গত ৩দিনের টানা বর্ষনের পাহাড়ী ঢলে ভেসে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার ফলে তেলখোলা-মুছারখোলা এলাকার কৃষিজীবি মানুষেরা শাক-সবজি সহ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে না পারায় চরমে অভাব-অনটন এবং দুর্ভোগে পড়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দি চৌধুরী দ্রুত সড়কটি মেরামত করা হবে বলে সাংবাদিকের আশ^াস্থ করেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, পালংখালী ষ্টেশন থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার অদূরে প্রবল বর্ষনে ভেসে গেছে পালংখালী-তেলখোলা-মুছারখোলার একমাত্র যোগাযোগের সড়কটি। অথচ এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত কয়েক লক্ষ টাকার কাঁচা মালামাল বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে পালংখালী এবং উখিয়ার ৪/৫টি হাটবাজারে নিয়ে আসেন সেখানকার কৃষিজীবি পাহাড়ী-বাঙ্গালীরা। কিন্তু গত ৩দিন ধরে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় এসব চাষীরা চরম বেকায়দায় পড়েছে। একদিকে তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারছেনা অন্যদিকে পঁচে-গলে নষ্ট হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার কৃষিপণ্য। স্থানীয় ইউপি সদস্য তোফাইল আহমদ বলেন, তেলখোলা-মুছারখোলা এলাকার প্রায় ৫হাজারের অধিক পাহাড়ী এবং বাঙ্গালী পরিবার রয়েছে। এদের জীবন জীবিকা নির্ভর করে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করে। গত ৩দিনের প্রর্বল বর্ষনের ফলে পালংখালী ষ্টেশন থেকে দেড় কিলোমিটার দুরে পাহাড়ী ঢলে যোগাযোগের সড়কটি ভেসে যাওয়া এখানকার লোকেরা পড়েছেন চরম সমস্যায়। এমনকি অনেক পরিবার না খেয়ে আছেন এক-দেড় দিন ধরে। দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার সড়ক কাঁেদ বহন করে মালামাল নিয়ে আসাও দুরহ ব্যাপার হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় সড়কটি দ্রুত মেরামত করা জরুরী হয়ে পড়েছে বলে তিনি জানান। স্থানীয় চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, পাহাড়ী ঢলের পানিতে বিচ্ছিন্ন হওয়া সড়ক ইতিমধ্যে পরিদর্শন করেছি। কিন্তু বৃষ্টি না থামানোর কারনে এই মুহুর্তে মেরামতের কাজ শুরু করা যাচ্ছেনা। বৃষ্টির অবস্থা বুঝে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বচল করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন, সড়কটি পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হবে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর টোল প্লাজা এলাকায় একটি গাড়ি থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ...
পাঠকের মতামত